ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি তার ছবি বিকৃত করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আজ সকালে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সময় ডাকসুর কয়েকজন সদস্যও শিক্ষিকার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া। সেখানে তিনি লিখেছেন, শেহরীন আমিন ভুইয়া ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি। উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা।

তিনি আরও লিখেছেন, অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মুনসুর।
ওসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষিকা মোনামির এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় এই মামলায় ১ নম্বর আসামি সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, ২ নম্বর আসামি লেখক ও এক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ৩ নম্বর আসামি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং ৪ নম্বর আসামি আশফাক হোসাইন ইভান।
এজাহারে আসামিদের ফেসবুক আইডি ও পোস্টের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ক্রমাগত তার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করে তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি।
শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামি বলেছেন, ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো। আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।












